ওয়েবডেস্ক- দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে (Defense System) সাজিয়ে তুলছে প্রথমে থেকেই নজর দিয়েছে কেন্দ্র সরকার (Central Government)। ভারতের প্রতিরক্ষায় যুক্ত হয়েছে যুদ্ধ বিমান (Fighter plane) থেকে যুদ্ধ রণতরী (warrior) । পাকিস্তান (Pakistan) ও চীনকে (China) জোর টক্কর দিতে এবার ভৈরব কমান্ডো বাহিনী (Bhairav Commando) । লাদাখের কাছেও তৈরি হচ্ছে নায়োমা বিমাবন্দর। যা চলতি বছরেই অক্টোবরেই উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চীনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে এবং লেহ থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বিমানঘাঁটি।
তিন বছরেরও কম সময়ের মধ্যে নির্মিত, এই বিমানবন্দরটি বেশ কয়েকটি সামরিক চালকবিহীন, ঘূর্ণমান-উইং, স্থির-উইং বিমান রাখার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এবার দেশের প্রতিরক্ষায় কমান্ডো বাহিনী। পাকিস্তান ও চীনের কাছে হুমকি। যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষকে টক্কর দিতে নতুন পাঁচটি বিশেষ প্রশিক্ষণে পারদর্শী ব্যাটালিয়ন গড়েছে ভারতীয় সেনা। আপাতত পাঁচটি ভৈরব কমান্ডো ব্যাটালিয়ন তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটিকে চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকি দুই ব্যাটেলিয়ন থাকবে একটিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল, এবং অন্য ব্যাটালিয়নকে পাকিস্তান সীমান্তে পশ্চিমাঞ্চলীয় মোতায়েন করা হবে।
২০২০ সালে গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভারত চীনের দুইপক্ষের সৈন্যের মৃত্য হয়। তার পর দুই দেশের মধ্যেই অনেক জল গড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি ভারত সফরে এসেছিলেন চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং উই। তবে গালওয়ানের সংঘর্ষ থেকে শিক্ষা কেমন নিয়েই প্রতিরক্ষায় অতি সক্রিয়। লাদাখ নিয়ন্ত্রণ রেখায় চীনা বাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তে পাক সেনা এক সঙ্গে হামলা চালালে ভারতীয় সেনা কীভাবে মোকাবিলা করবে? তারই ফলসরূপ এই ভৈরব কমান্ডো।
আরও পড়ুন- LAC’ র কাছেই লাদাখের নায়োমা বিমানঘাঁটি, অক্টোবরে উদ্বোধন মোদির
জানা গেছে, স্পেশাল ফোর্সের মতো, প্রতিটি ভৈরব ব্যাটালিয়নকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং অপারেশনাল ভূখণ্ডের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে নিয়োগ করা হবে। প্রতিটি ভৈরব ব্যাটালিয়নে প্রায় ২৫০ জন সৈন্য থাকে, যারা দুই-পর্যায়ের পদ্ধতিতে প্রশিক্ষিত। তাদের মূল ইউনিটের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রাথমিক প্রস্তুতি, তারপরে বিশেষ বাহিনীর ইউনিটগুলির সঙ্গে আরও কঠোর অনুশীলন। অক্টোবরের শেষ নাগাদ কমপক্ষে ২৩টি ইউনিট কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। ২৬ তম কার্গিল দিবসেই সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ভৈরব বাহিনীর কথা ঘোষণা করেন ।
দেখুন আরও খবর-